ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কোকা কোলার বোতল সরানোর ঘটনা নিয়ে প্রথম আলোর একটি নিউজ আমার নজরে আসে। এরপর ডেইলি স্টার, ইত্তেফাক, জাগোনিউজ ইত্যাদিতে প্রায় একই নিউজ দেখলাম – রোনালদোর এক ঘটনায় কোকা কোলা হারালো প্রায় ৪০০ কোটি ডলার যা প্রায় ৩৩০০০ কোটি টাকা। (আহা! একজন ক্রীড়াবিদের কি ক্ষমতা!)
রোনালদো ভক্ত এবং বিরোধীদের মাধ্যমে টি আর পি বাড়ানো ই নিউজগুলোর মূল উদ্দেশ্য বলে আমার কাছে মনে হয় নি। বরং মনে হয়েছে এই পত্রিকাগুলো একটি অপ্রয়োজনীয়, অবিবেচক এবং অযৌক্তিক নিউজ করেছে। সেটা ইচ্ছাকৃত হতে পারে, তবে না জেনে শুনেই তারা এ ধরণের ভুল প্রায় ই করে থাকে আর আমরা সচেতন – অসচেতন সবাই তা গোগ্রাসে গিলতে পছন্দ করি।
আচ্ছা, নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে কোকাকোলার দাম ৫৬.১০ ডলার থেকে কমে ৫৫.২০ ডলার হয়েছে অর্থাৎ কমেছে ৯০ সেন্ট মাত্র। স্টক বা শেয়ারের দাম হ্রাস-বৃদ্ধি খুব স্বাভাবিক ঘটনা। আর এতে করে কোম্পানির বাজার মূলধন ও হ্রাস বৃদ্ধি হয়। মাত্র ৯০ সেন্ট দাম হ্রাস কি খুব অস্বাভাবিক? আর এ দাম হ্রাসের সাথে রোনালদোর ঘটনার সম্পর্ক (কো-রিলেশন) রয়েছে তা কে, কিভাবে নিশ্চিত হলেন? বরং শেয়ারটি দুইদিনে ১ ডলার দাম বৃদ্ধি পেয়ে পরদিন ৯০ সেন্ট হ্রাস পেয়েছে। এ ধরণের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি শেয়ারের ধর্ম এবং অতি সাধারণ ঘটনা।
এবার আসি, আপনাদের যুক্তি খন্ডনে, সামান্য শিক্ষক হয়ে আপনি পত্রিকার সাংবাদিকদের চেয়ে বেশি জানেন? উনারা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ঘটনার সাথে শেয়ার মূল্য হ্রাসের সম্পর্ক খুজে পেয়েছেন আর আপনি কি আবোল তাবোল বলছেন?
ঐ একই দিনে প্রায় এক ই সময়ে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত Coca-Cola HBC AG সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা ইউরোপ কেন্দ্রিক ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে মূলত। এরমধ্যে শেয়ার টি ২৬১৫ পাউন্ড থেকে ২৬৭০ পাউন্ড হয়েছে অর্থাৎ ৫৫ পাউন্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধি পাওয়ার সম্পর্ক কী?
আবার যে ইউরোপের খেলোয়াড়, ইউরোতে ঘটনা সে Coca-cola European এর শেয়ার দর সেই নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে ই প্রায় সমসাময়িক সময়ে ৬১.৪০ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬২.৬০ ডলার পর্যন্ত হয়ে গেল অর্থাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে ১.২০ ডলার তার সম্পর্ক কী? বিষয় টি শুধু খেলা কিংবা নিছক একটি রিপোর্ট। কিন্তু এর সংঙ্গে সাংবাদিকতার বিধিনিষেধ এবং নৈতিকতা জড়িত। আর জড়িত আমজনতার আবেগ। যে কেউ যেকোনো ভাবে বিভ্রান্ত করতে পারে বলে ই এ দেশে এখন আর কেউ কাউকে বেশিক্ষণ বিশ্বাস করতে পারে না। নিজেদের সংশোধন জরুরি। অতীব জরুরি।
ব্যাখ্যাঃ
৫৫.২২ এ শেয়ার দর পতনের সংবাদ প্রকাশ করলেও মিডিয়াগুলো যে খবর বলে নি, সেটা হচ্ছে দিনশেষে ক্লোজ প্রাইজ ছিল ৫৫.৫৫ ডলার। অর্থাৎ এই ৩৩ সেন্ট প্রাইজ রিকভারি করা সত্ত্বেও মিডিয়া তা প্রকাশ করে নি। তাই নিউজটি পূর্ণাঙ্গ হয় নি, একপাক্ষিক। অর্থাৎ নিউজটি তৈরি করা হয়েছে শিরোনাম টিকে আকর্ষণীয় করার জন্য, পাঠককে সঠিক বিষয় টি জানানোর জন্য নয়। যা বিভ্রান্তিকর। প্রকৃত পক্ষে ১৪ তারিখ শেয়ারটি দর হারিয়েছে ৬১ সেন্ট বা ১.০৯%। প্রাইজ রিকভারির এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করায় নিউজটি যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত তা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট।
এবার আসি, একদিনে কোকাকোলার মতো কোম্পানির শেয়ার দর এতো হ্রাস অথবা বৃদ্ধি কি অস্বাভাবিক?
সাম্প্রতিককালে (২০২১ সালে) ১১ মে শেয়ারটি একদিনে দর হারায় ১.০৭%, ২৬ এপ্রিল ১.৪৯%, ৯ মার্চ ১.৫১%, ১১ মার্চ ১.০৯%, ১২ মার্চ ১.০২%, ১৮ মার্চ ১.৩১%, ৩০ মার্চ ১.৩০%, ১৯ ফেব্রুয়ারী ১.৩%, ২৫ ফেব্রুয়ারী ১.০৬%, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২.৩৫%, ২৯ জানুয়ারি ২.০৩% এবং ২৭ জানুয়ারি ১.৫৪% দর হারায়। এমনকি ১৬ জুন ১.৩৪% দর হারায় ( যদি ১৪ তারিখের জন্য রোনালদো ইফেক্ট ই একমাত্র কারণ হয়ে থাকে, তাহলে ১৬ তারিখের জন্য রাশিয়ান কোচের ইফেক্ট আছে বলে যারা মিম প্রকাশ করছে আপনাকে তাদের যুক্তি মেনে নিতে হবে। মানবেন?)
শেয়ারের প্রাইজ শুধু হ্রাস ই পায় না বরং বৃদ্ধি ও পায়। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাম হ্রাস বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কারণ থাকলে ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ হ্রাস বৃদ্ধির পিছনে কোন যৌক্তিক কারণ থাকে না। মার্কেট মেকারদের ইচ্ছাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ২০২১ সালে ৪ জুন শেয়ারটির দর বৃদ্ধি পায় ১.০৮%, ৬ মে ১%, ৩ মে ০.৯৩%, ২৯ এপ্রিল ১.২৫%, মার্চের ১ তারিখ ১.৮৬%, ৫, ৮, ১০ ও ১৫ মার্চ যথাক্রমে ১.৭০%, ১.৬৭%, ১.১৪% এবং ১.৩৩% দর বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ২৫, ২৬, ২৯ মার্চ ০.৯৭%, ১.৯৬%, ১.৫৩% ৫ ফেব্রুয়ারী ১.৩১%, ২ ফেব্রুয়ারী ০.৯৯%, ১১, ১৮, ২২ ফেব্রুয়ারী যথাক্রমে ১.৪১%, ১.২৮% এবং ১.০৪%, ২৮ জানুয়ারী ১.২৮%, ২৬ জানুয়ারি ১.০৫% দর বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে এ সময়ে সামগ্রিকভাবে দর বৃদ্ধির প্রবণতা ই বেশি ছিল। এটা কে আপট্রেন্ড বলা হয়, আর প্রতিটি আপট্রেন্ড এর পরপরই একটি ডাউনট্রেন্ড/ কারেকশন থাকবেই। ১৪ জুন পর্যন্ত কোকা কোলার শেয়ার প্রাইজটি আপট্রেন্ড বজায় রেখেছে (সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ফেব্রুয়ারী – মার্চে) এবং যথারীতি এর প্রাইজ বৃদ্ধির র্যালিটি জুনে একটু দুর্বল হয়ে যাওয়ায় একটি কারেকশন অত্যাবশ্যক ছিল। সে কারেকশন টির ইংগিত পাওয়া যায় ৭, ৮ এবং ৯ জুনের ক্যান্ডেলস্টিক দেখে। এই তিনদিনে ৭৬ সেন্ট বা ১.৩৭% দর হারিয়েছে। তবে ১৪ ই জুনের ক্যান্ডেলগুলো কারেকশন কনফার্ম করে যা একটি কো-ইনসিডেন্স বৈ আর কিছুই নয়। তবে এ কারেকশন আরো বেশ কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে – গ্রাফ/চার্ট দেখে সেটা ই মনে হচ্ছে। তখন বাজার মূলধন আরো ৮/১০ বিলিয়ন হ্রাস পেতে পারে। এবং এটা অস্বাভাবিক নয়। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ সংশ্লিষ্টতা থাকায় এবং ২০১০-১১ সালের দেশের শেয়ার বাজারের ধ্বস সরাসরি প্রত্যক্ষ করা এবং পরবর্তী সময়গুলোতে আমি আসলে প্রতিনিয়ত ই শিখে যাচ্ছি। এবং এ শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার কোন শেষ নেই। শেয়ার বাজারে একটি কথা প্রচলিত আছে যে – শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পায় হ্রাস পাওয়ার জন্য এবং দাম হ্রাস পায় বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য। এটাই সেকেন্ডারি বাজারে শেয়ারের বৈশিষ্ট্য। আর এ হ্রাস বৃদ্ধির জন্য সবসময়ই সুনির্দিষ্ট কারণ থাকা জরুরি নয়।
তাহলে কি রোনালদোর প্রভাব আপনি অস্বীকার করছেন?
শেয়ার বাজারে বিহেভিয়ারেল থিওরী মোটকথা বিনিয়োগকারীদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো স্টাডি ইদানীং কালে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কোন ঘটনায় বিনিয়োগকারীগণ কি প্রতিক্রিয়া দেখাবে তাও শেয়ারের মূল্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু সবক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের আচরণ অনুমান কিংবা স্টাডি করা বাস্তবসম্মত নয়। এক্ষেত্রে ও হয়তো রোনালদোর বিষয় টি (কনাফার্মেশন ক্যান্ডেলটি ক্রিয়েশনে) প্রভাবক হতে পারে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার প্রভাব-পরিচিতি সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে কোন বিনিয়োগকারী হয়তো একারণে শেয়ার বিক্রি করলে ও করতে পারেন। কিন্তু এটা উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করে না।
কিন্তু যদি এ ঘটনায় একই সাথে কোকা কোলার অন্যান্য কন্সার্ন কোম্পানিগুলোর শেয়ার এবং ইউরোপের বাজারগুলোতে একইসময়ে একই ধরনের প্রভাব দেখা যেতো তবে পত্রিকায় দেয়া যুক্তিটি কিছুটা হলেও মেনে নেয়া যেতো। কিন্তু যহেতু হয়েছে এর প্রায় বিপরীত ঘটনা, তাই রোনালদোর ঘটনার প্রভাবের সম্পর্ক নির্ণয়ের যুক্তি দেয়া গেলে ও পত্রিকায় যেভাবে প্রকাশ করা হয়েছে তা আমার কাছে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য নয়। শেয়ার মূল্য হ্রাসে তার ঘটনার প্রভাব পত্রিকায় যেভাবে প্রকাশ করা হয়েছে তা কোনভাবেই বাস্তবসম্মত নয়, একপাক্ষিক এবং বিভ্রান্তিকর মনে হয়েছে – এটা প্রমাণ করাই বেশি সহজ, যৌক্তিক এবং তথ্যনির্ভর যে এ দর হ্রাস একটি স্বাভাবিক ঘটনা এবং রোনালদোর ঘটনার সাথে এর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
এবার ৪০০ কোটি ডলার বা ৩৩০০০ কোটি টাকা ক্ষতি বা মূলধন হারানো নিয়ে কিছু বলা যাক। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের দেশের পত্রিকগুলো ও নিয়মিত লিখে, যখন শেয়ার বাজারে অস্বাভাবিক দর পতন বা বৃদ্ধি পায়। এই বিষয় টি হচ্ছে বাজার মূলধন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হচ্ছে অধিকাংশ উচ্চশিক্ষিত লোকজন ও এই বিষয় টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখেন না। ধরুন আপনি আলু চাষী। আপনার জমিতে এক হাজার কেজি আলু হয়েছে। আপনি সেগুলো বাজারে বিক্রয় করবেন – কিন্তু ধীরে ধীরে। স্বাভাবিকভাবে প্রতি কেজি আলুর দাম ২০ টাকা তাহলে আপনার বাজার মূলধনের পরিমান হবে ১০০০×২০ = ২০০০০ টাকা। এখন কোন একদিন আপনি অথবা অন্য কোন বিক্রেতা শুধু এককেজি আলু বিক্রি করলেন – এমন কোথাও/ কারো কাছে যেখানে আলু নেই অথবা চাহিদা অনেক বেশি। উক্ত ব্যক্তি আপনাকে এক কেজি আলুর মূল্য হিসেবে ৫০ টাকা পরিশোধ করলেন। যেহেতু বাজার মূলধন হিসাব করা হবে সর্বশেষ মার্কেট প্রাইজ হিসেবে তাই এখন আপনার বাজার মূলধন দাঁড়াবে ১০০০×৫০= ৫০০০০ টাকা। কিন্তু তাই বলে কি আপনি ১০০০ কেজি আলু ই ৫০ টাকা দরে বিক্রয় করতে পারবেন? পরবর্তী কেজি আলু ই যদি বাজারে বিক্রয় হয় ২০ টাকা করে তাহলে আপনার বাজার মূলধন আবার ২০০০০ টাকা হয়ে যাবে। তাই বলে কি আপনার ৩০০০০ টাকা লস হয়েছে বলা যাবে? বরং আপনার হয়তো কোন আর্থিক পরিবর্তন ই হয় নি। শুধু একটি হিসাবের ধারণাগত বিষয় টি ছাড়া। যদি-ও শেয়ারের ক্ষেত্রে বিষয় টি কিছুটা ভিন্ন, সেখানে বাজার মূল্য শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদের – শেয়ারের তারল্যের নির্দেশক। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একইদিনে একই প্রাইজে একটি কোম্পানির সবগুলো শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় কিংবা হস্তান্তর করা সম্ভব নয়। তাই বাজার মূলধন একটি ইন্ডিকেটর টার্ম, একটি ধারণাগত বিষয়। যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয়তো বাস্তবযোগ্য নয়। কিন্তু যদি কোম্পানির মালিকানা হস্তান্তর করা হয় কেবলমাত্র তখনই বাজার মূলধন টি একটি বাস্তবায়নযোগ্য বিষয় হতে পারে। (যেমন গতবছরের জুনে বাংলাদেশের গ্লাস্কোস্মিথকেইন এর ব্যবসা ইউনিলিভার ক্রয় করে নেয়। লেনদেন সম্পাদিত হয় ব্লক মার্কেটে এবং সেখানে প্রতিটি শেয়ারের হস্তান্তর মূল্য বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি ছিল; ২০৪৬.৩০ পরিশোধ করা হয়। কিন্তু যদি মালিকানা হস্তান্তরের এ প্রক্রিয়া টি ব্লক মার্কেটে না হয়ে নিয়মিত মার্কেটে হতো তাহলে প্রাইজ মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য হতো। এমনকি যদি গ্লাক্সো ইউনিলিভারের নিকট বিক্রয় না করে শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতেন তাহলে হঠাৎ করে অস্বাভাবিক যোগান বৃদ্ধি পাওয়ায় এর মূল্য হয়তো অর্ধেকে; প্রায় ১০০০ টাকা প্রতি শেয়ার, নেমে আসতো। অর্থাৎ অর্থনীতির চিরন্তন চাহিদা ও যোগান তত্ত্বটি শেয়ারের মূল্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।)
পুনশ্চঃ আপনাদের বিবেচনার জন্য আমি স্টক প্রাইজগুলোর স্ক্রিনশট সংযুক্ত করে দিলাম। যদিও মনে হয় না আপনারা সময় নিয়ে তা দেখবেন বা পড়বেন। বরং মিথ্যা কে আঁকড়ে ধরে বেচে থাকা আর হাসি ঠাট্টায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে উপহাস করা আপনাদের (সামগ্রিকভাবে আমাদের জাতীয় সমস্যা) নিত্তনৈমিত্তিক রুটিনে পরিণত হয়ে গেছে।
ব্যাখ্যাঃ
আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে এ নিউজ টি এতো গুরুত্বসহকারে এসেছে – আপনি তা অগ্রাহ্য করছেন?
না, আমি অগ্রাহ্য করছি না। আমার মতো অতি ক্ষুদ্র কেউ অগ্রাহ্য করলে ও কারো কিছু যায় আসে না। আমরা জানি মিডিয়া নিউজ তৈরি করে। জনগণ আগামীকাল কিভাবে চিন্তা করবেন একজন সম্পাদক কিংবা সাংবাদিককে তা আজ ই নির্ধারণ করতে হয়/ চিন্তা করতে হয়। আর ফিফা, উয়েফা, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি মিডিয়ার প্রায় সবাই কোকাকোলার প্রত্যক্ষ আর্থিক সুবিধাভোগী এ কথা ভুলে গেলে চলবে না। নেগেটিভ মার্কেটিং কৌশল সম্পর্কে ধারণা থাকা ও এ ঘটনার জন্য জরুরি।
বি দ্রঃ ঘটনার পরপরই আমার পোস্ট টি অসংখ্য শেয়ার হয় এবং অনেকেই সেখানে পর্যাপ্ত ব্যখ্যা না থাকায় বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন । আমার ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় পূর্ণাঙ্গ ব্যখ্যাসহ মন্তব্যগুলোর জবাব দিতে না পারায় তখন পোস্ট টি প্রাইভেট করে দেয়া হয়। পূর্বের পোস্টের কোন একটি অক্ষর ও পরিবর্তন না করে সে বক্তব্যের ব্যখ্যাসহ পোস্ট টি এডিট করে পাবলিক করে দেয়া হল।
আমার ব্যখ্যা এবং মতামত সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত। এবং আপনাদের সকলের মতামতের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে।
ধন্যবাদ
© আব্দুল কাদির নিঝুম
লেখাঃ 16.06.2021
ব্যাখ্যা সংযুক্তঃ 23.06.21